কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রফতানিতে চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এতে আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট লাঘব হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার বৈরিতা কমার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২২শে জুলাই) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আলাদাভাবে যুদ্ধপক্ষগুলো চুক্তিতে সই করেছে। এ সময়ে তারা একই টেবিলে বসা থেকেও বিরত ছিল। দুদেশের পতাকা এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল, যাতে তাদের একইসঙ্গে বসতে না হয়।

এমনকি দুই দেশের প্রতিনিধিরা এ সময়ে করমর্দনও করেননি। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুমাসের চেষ্টায় চুক্তিটি এ পর্যায়ে এসেছে। এ চুক্তিকে একটি প্যাকেজ আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস বলেন, এতে ইউক্রেন তাদের খাদ্যশস্য বিদেশে রফতানি করতে পারবে। রাশিয়ার খাদ্যশস্য ও সার রফতানিও সহজ হয়ে যাবে।

ইউক্রেন বলেছে, তারা শস্য রপ্তানির বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি করেনি, করেছে জাতিসংঘের সঙ্গে। তারা আরও জানিয়েছে, চুক্তির অন্যতম শর্ত হলো, জাহাজগুলোতে যখন তল্লাশি চালানো হবে, সেটি যেন তুরস্কের জলসীমায় হয়।

এদিন চুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এরদোয়ান বলেছেন, এই চুক্তি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া থেকে বাঁচাবে।

জাতিসংঘ প্রধানের মতে, এটি একটি আশার আলো। বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্মতিতে এই চুক্তি বিশ্বকে স্বস্তি দেবে।

যুদ্ধরত দুই দেশকে চুক্তিতে রাজি করাতে সহযোগিতায় করায় তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান গুতেরেস। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপে আঙ্কারার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘ প্রধান জানান, এই চুক্তি ইউক্রেনের তিনটি প্রধান বন্দর- ওডেসা, চেরনোমর্স্ক এবং ইউঝনি দিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানির দুয়ার খুলে দিয়েছে। চুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ একটি সমন্বয় কেন্দ্র খুলবে বলেও জানান তিনি।